করোনাকালে যতটা সম্ভব সাবধানে থাকার চেষ্টা করেছি। যদিও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার প্রথম দিকে মাদ্রিদ আর জেনেভা যেতে হয়েছিলো। বিশ্ব তখনও এর ভয়াবহতা বুঝে উঠেনি।
অনেকদিন থেকেই শুনছি পরিচিত মানুষেরা পরীক্ষা করাচ্ছেন। কেউ কেউ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, কেউ হাসপাতালে ভর্তি। মৃত্যুবরণ করেছেন একাধিক পরিচিত ব্যক্তি।
তাই আমার বাসার সহকারী মিঠু যখন বললো বাবুর্চি মুসা আর চারজন নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে একজনের জ্বর তখন দেরি না করে পরীক্ষা করালাম, নিজের সহ মোট ৯ জনের।
ফলাফল এসেছে, মুসা এবং সেই নিরাপত্তাকর্মী সহ মোট ৪ জন পজিটিভ। মানে বাকি দুইজন পজিটিভ হয়েও কোনো লক্ষণ নেই।
আমরা বাকীরা নেগেটিভ।
গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। বাড়িতে রোগী রেখেই চিকিৎসা করাতে হবে এবং নিজেদের সুস্থ রাখতে হবে।
কাজটা সহজ না হলেও করতে হবে।
সকলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আমাদের সবার জন্য দোয়া করার জন্য। অসুস্থরা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন এবং নতুন কেউ যেন সংক্রমিত না হন।
৩-৪ দিন পরে দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা করানো হবে।
গত দুইমাস যেভাবে কাজ করেছি অবশ্যই চেষ্টা করব সেভাবে বাসায় থেকে কাজ করতে। অজস্র মানুষের বিভিন্ন অনুরোধ আসে আমার কাছে প্রতিদিন, এইসময় মূলত সেটা প্রবাসীদের কাছ থেকে আর অন্যদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশেদের নাগরিকদের কাছ থেকে। এলাকার দেখভালতো আছেই।
এখন আর কথা না বাড়াই।
সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। ভালো থাকুন সবাই।
(একটা ছোট্ট অনুরোধ, আমার বাসার কাউকে দয়া করে শুধু খোঁজ নেবার জন্য ফোন দিবেন না। তারা সবাই মানসিকভাবে কিছুটা হলেও কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন এবং নতুন পরিস্থিতিতে খাপখাইয়ে নেবার জন্য ব্যস্ত আছেন। আপনার কোনো বার্তা থাকলে তা নিচে লিখে দিতে পারেন অথবা যেকোনো মাধ্যমে সরাসরি আমার কাছে।)
আল্লাহতালা রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলের প্রতি সদয় হউন।
লেখক: বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।